কলাপাতা ও কলা গাছের রসের উপকারিতা

 কলাপাতা ও কলা গাছের রসের উপকারিতা

আপনি কি কলাপাতা ও কলা গাছের রসের উপকারিতা জানতে গুগুলে সার্চ করেছেন? তাহলে পাঠক আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।আজকের কন্টেন্টে আমি কলাপাতা ও কলা গাছের রসের উপকারিতা ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। 

প্রাচীনকাল থেকেই খাদ্য পরিবেশন এর সময় এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কলা গাছ ব্যবহার হয়ে আসছে।কলাপাতায় বিভিন্ন ভিটামিন, ফ্ল্যাভোনয়েড ও প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় কার্যাবলীতে সহায়তা করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

পেজ সূচিপত্রঃ

কলাপাতা ও কলা গাছের রসের উপকারিতা

কলাপাতার কথা বলতে গেলেই মনে পড়ে যায় সেই পুরনো দিনের কথা যেখানে অনুষ্ঠান বাড়িতে গেলেই কলা পাতায় খেতে দেয়া হতো। কিন্তু তখন হয়তো আপনি জানতেন না কলা পাতার বিভিন্ন গুণাবলী সম্পর্কে। কলাপাতার রস, মোচ্‌ থোর সবই প্রয়োজনীয়। এটা শুধুমাত্র হাতি বা পশুর খাদ্য নয়। কলা গাছের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক।

কেউ কেউ মোচা বা থর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সর্দি-কাশি,শ্বাসকষ্ট,কোষ্ঠকাঠিন্য,আমাশা অপুষ্টি ,অম্ল অতিরিক্ত গ্যাস ক্ষরণ করা ,উচ্চ রক্তচাপ লিভারের দোষ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কলাপাতা ও কলা গাছের রস বিশেষ উপকারী।না কচি ,না শক্ত এমন ধরনের সবুজ পাতা বেঁটে বা থেঁতলে আধ কাপ খেতে হবে।আপনি  নুন ,চিনি ইত্যাদি মেশাতে পারবেন না কারন এতে গুনাগুন নষ্ট হবে।কলা পাতায় থাকে ক্লোরোফিল। যা অন্ত্রের ঘা, বিভিন্ন চর্মরোগ,লিউকোমিয়া ইত্যাদি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কলাগাছের বিভিন্ন প্রাচীন ব্যাবহার

কলা গাছের ফাইবার থেকে বিভিন্ন ধরনের কাগজ ও টেক্সটাইল সামগ্রী তৈরী করা হতো।বিভিন্ন প্যাকেজিং এর কাজে এমন কি খাদ্যদ্রব্য মুড়িয়ে রাখার কাজে এর পাতা ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।কলাগাছে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ছাই থাকে যা স্যার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।কলা গাছের ছাল থেকে মাদুর,দড়ি,কলা গাছের ভেলা ও বিভিন্ন রপ্তানি জাতীয় সামগ্রী তৈরী করা হয়ে থাকে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, ভারত ,চীন , এমনকি আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই কলা গাছের ব্যবহার হয়ে আসছে। 

বিশ্বের ১৩৫ টা দেশে কলা গাছের চাষ করা হয় মূলত কলার কাগজ তৈরীতে এবং টেক্সটাইল বিভিন্ন পণ্য তৈরীতে। বিশ্বের মোট ২৬% কলা গাছ চাষ করা দেশগুলো হলো চীন এবং ভারত।খাবারের সাদ ও গুণগত মান রক্ষার্থে কলাপাতার তৈরি প্লেট ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এর পাতায় কোনোরকম কেমিক্যাল পদার্থ না থাকায় খাদ্য দূষণমুক্ত থাকে এবং পরিবেশন অনেক বেশি হেলদি হয়ে থাকে।বিভিন্ন খাবার যেমন-ইলিশ পাতুড়ি,চিংড়ি মাছের মালাইকারি ইত্যাদি কলা পাতায় মুড়িয়ে রান্না করা হয়ে আসছে।এটির ফ্লেবার একদমই আলাদা।

বিভিন্ন পুজো পার্বণ, সামাজিক বিভিন্ন উৎসব, বাড়ি সাজানোর বিভিন্ন কাজে কলা গাছের ব্যবহার হয়ে আসছে। যে সমস্ত খাদ্য নরম সেগুলো প্যাকেটিংয়ের কাজে কলা পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জাপানে বিশেষ ধরনের কাপড় তৈরিতে ও কাগজ শিল্পে ম্যানিলা হেম্প নামক কলা গাছের ফাইবার ব্যবহার করা হয়। গাছটির কান্ডের কান্ডের বহিরাংশ থেকে ফাইবার কালেক্ট করে কাগজ ও দড়ি উৎপন্ন করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন কলাপাতা ও কলা গাছের রসের উপকারিতা কত বেশি।

কলাপাতায় উপস্থিত পদার্থের ভেষজ গুণ

  • কলাপাতায় ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে যা হজম প্রক্রিয়া সহায়তা করতে পারে, এবং কষ্টবোধ্যতা দূর করে।
  • কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে কলাপাতা অজীরনতা পেট ফাঁপা ও গ্যাসের উপশমে সহায়তা করে।
  • শাস তাজা করাঃকলা পাতা চিবানো এর এন্টোমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে শ্বাস তাজা হয়ে থাকে।
  • মৌখিক সংক্রমন হ্রাসঃকলাপাতায় এন্টিমাইক্রবিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে কিছু মৌখিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
  • কলাপাতা চিবিয়ে খাওয়াঃ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ও উপকারিতা পাওয়ার জন্য কলা পাতা চিবিয়ে খাওয়া হয়।
  • রসঃ কলাপাতার রস তৈরী করে খাওয়া হয়।
  • শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য সর্দি উপসর্গ উপশমে ঐতিহ্যগত ব্যবহারগুলি সূচিত করে যে , কলাপাতা কাশি শান্ত করতে এবং সর্দি জনিত কনজেশন উপশম করতে সাহায্য করে।
  • ঘা নিরাময়ে ঃ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে কলাপাতা এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে যা ঘা নিরাময় সাহায্য করে থাকে।
  • ত্বকের সংক্রমণঃ কলা পাতায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে যা কিছু ত্বকের সংক্রমণ থেকে সহায়তা করে।

কলাপতায় খাদ্য পরিবেশন করার উপকারিতা

  • কলা পাতায় খাদ্য পরিবেশন করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।অ্যালোয়েনটাইন নামক এক বিশেষ ধরনের পদার্থ কলা পাতায় উপস্থিত থাকে। এটি বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক অংশে বাড়ি দেয়। যার ফলে এখানে খাবার খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।শরীরের ক্ষতিকারক বিভিন্ন র‍্যাডিকেলগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের  শক্তি দিয়ে থাকে।
  • অনেকের পেটের সমস্যা ক্রনিক হয়ে থাকে। যেহেতু কলা পাতা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব এখানে টক্সিন এর উপস্থিতি অনেক কম। তাই বমি বমি ভাব বা পেটে ব্যথা কোন রকমের অস্বস্তি এসব কিছু থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কলা পাতা ব্যবহৃত প্লেটে খেলে। এছাড়া এখানে কোনো ক্ষতিকর টেক্সটাইল রং ব্যবহার করা হয় না পুরোটাই প্রাকৃতিক। তাই কলা পাতায় খাদ্য পরিবেশন অনেক বেশি উপকারি।
  • ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলে রূপচর্চার কাজেও কলাপাতা ব্যবহার হয়। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক অংশে বৃদ্ধি করে।এখানে বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পদার্থ উপস্থিত থাকায় বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস প্রতিরোধ করে এবং ব্যাকটেরিয়া দমনে সাহায্য করে। প্লাস্টিকের মতো হানিকারক হয়। খুব সহজেই পরিবেশের সাথে মিশে যায়।
  • পলিফেনল একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কলাপাতায় উপস্থিত থাকে।উদ্ভিদ্ভিত্তিক খাবারে এটি বেশী পরিমানে থাকে।অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এর হার ব্যাপক অংশে কমিয়ে থাকে।কলা পাতায় এর উপস্থিতি অনেক বেশি।

কলা গাছের বিভিন্ন অংশের গুনাগুন

  • কলা পাতায় থাকা পলিফেনালস প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক রূপে কাজ করে।
  • কলা পাতায় আছে ভিটামিন A,C,B6 যা আমাদের ত্বকের ও চোখের যত্ন নেয়।
  • এতে থাকা ট্যানিন একটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রুপে কাজ করে যা ওয়েলি স্কিন এবং পোরস এর সমস্যা সমাধান করে।ব্রণের সমস্যা সমাধান করে।
  • এটি একটি এস্ট্রিনজেন্ট উপাদান রূপে কাজ করে।
  • কলাপাতা থাকা আয়রন রক্তসল্পতা দূর করে।
  • কলাপাতার মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভনয়েডস সর্দি ,শ্বাসকষ্ট ,ব্রংকাইটিস এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
  • এর মধ্যে থাকা উচ্চমানের ডায়েট্রি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং লিভার যন্ত্র সমস্যা চিরতরে দূর করে।
  • এর পাতায় উপস্থিত যথেষ্ট মাত্রার ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা কোমর ব্যাথা ও হাড়ের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
সপ্তাহে চারদিন সকালে খালি পেটে ৫০-৭০ গ্রাম কলাপাতার রস খেলে আপনি অসামান্য উপকৃত হবেন। তবে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে সেবন করুন।কলাতে উপস্থিত বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অনুপাত ছক আকারে নিচে দেয়া হলঃ
 
উপাদান পরিমাণ
ক্যালসিয়াম 85mg
ফসফরাস 50mg
আয়রন 0.6mg
ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স 8mg
মোট ক্যালরি 116m

বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ে এর ব্যবহার

কলা গাছের পাতা,থোড়,মোচা প্রত্যেকটি অংশই দারুন ভাবে রোগ নিরাময়ে কার্যকর। কলাপাতার রসে  যে ক্লোরোফিল থাকে তা অন্ত্রের ঘা,লিউকোমিয়া ও চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে।কোন জায়গা কেটে গেলেও কলাপাতা ভীষনভাবে কাজে দেয়।পুরনো কাশী, লিভার এর বিভিন্ন দুর্বলতা, কিডনিতে পাথর, ইত্যাদি রোগ সারাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।যাদের অনেক দিন ধরে খুশখুশে কাশি রয়েছে তারা কলাপাতার রস সেবন করতে পারেন। 

নেফ্রাইটিস হলেও কলাপাতার রস সেবনে দ্রূত সারবে।কলা আপনারা দিনে খাবার চেষ্টা করবেন এবং বেশি করে চিবিয়ে খাবেন।ব্রংকাইটিসের মত কঠিন রোগের ওষুধ এটি।ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসাক্ষেত্রে কলাপাতা ও কলা গাছের রসের বিভিন্ন ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। হজমে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে, খাবারের স্বাদ বাড়ায় , ত্বকের জন্য উপযুক্ত , চুলের জন্য অনেক উপকারী , ডিটক্সিফিকেশন করে  ,ডায়াবেটিস রোগের রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী।

পরিবেশ বান্ধব হিসেবে এর গুরুত্ব

প্লাস্টিক বা অন্যান্য সিন্থেটিক পদার্থের মত এটি দীর্ঘস্থায়ী নয় এটি খুব সহজেই পরিবেশের মাটির সাথে মিশে যায়। কলাপাতা রি সাইকেল করা অনেক বেশি সহজ। কলাপাতা তৈরি প্লেট অনেক বেশি দূষণমুক্ত এবং কোনরকমের রাসায়নিক পদার্থ নয় ক্ষতিকারক । এছাড়াও  দূষণ সৃষ্টিকারী অন্যান্য পদার্থের চেয়ে কলাপাতা তৈরি বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

কলাপাতা অনেক বেশি সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী এছাড়াও এটি আমাদের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। কম্পোস্ট সার হিসেবে পরবর্তীতে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মাটির সাথে মিশে মাটির গুনাগুন অনেক অংশে বাড়ি দেয়।গোখাদ্য হিসেবেও এটি ব্যাবহার করা যাবে। এটি খাবার পরিবেশনের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

বর্তমান যুগে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর ব্যবহার

বর্তমানে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কলা পাতা চিকিৎসা শাস্ত্রে এবং বিভিন্ন রপ্তানিযোগ্য পণ্য তৈরি করতে ভূমিকা রাখছে। কলা গাছ রিসাইকেল করা অনেক সোজা. এটি ভেষজ গুণসম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। কলা গাছে যে ফাইবার রয়েছে এটি উন্নত মানের কাগজ দড়ি প্রস্তুত করা সম্ভব।ম্যানিলা হেম্প নামক কলা গাছের কান্ডের বহিরাংশ থেকে আঁশ সংগ্রহ করে উন্নত মানের এবং পরিবেশ বান্ধব দড়ি করা হচ্ছে।

বিভিন্ন রেসিপি তৈরিতে কলাপাতার ব্যবহার

কলা পাতার নিজস্ব সুগন্ধ রয়েছে যা খাদ্য ব্যবহার করলে খাদ্যের গুনাগুন এবং স্বাদ অনেক অংশে বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের পাতুড়ি তৈরীতে কলাপাতা ব্যাবহার করা হয়।যেমন-ভাপা ইলিশ,ইলিশ পাতুড়ি,বিভিন্ন মাংস মশলা মাখিয়ে কলা পাতা মুড়িয়ে ভাপিয়ে নেওয়ার কাজেও কলাপাতা ইউজ করা হয়। ভাপানো সরষে ইলিশ,বাঁশের ভিতর চিংড়ির মালাইকারী রান্নায় কলাপাতা পেঁচানো হয়।পাহাড়ী অঞ্চলের বিভিন্ন পিঠা মুড়িয়ে রাখার জন্য কলাপাতা ব্যবহার করা হয়।

কলাপাতা গরম করে সেখানে মাছ অথবা মাংস ভাজা হয় এতে করে রেসিপিতে আলাদা একটা ফ্লেভার আসে। খাবারকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখতে কলা পাতা অনেক সাহায্য করে থাকে। এর সহজলভ্যতাই এর ব্যবহার অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলেছে। কাচকি মাছের পাতুরি, কলা পাতায় চিংড়ি ভাপানো, তালের পিঠা তৈরি ইত্যাদি বিভিন্ন রেসিপিতে কলা পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কলাপাতা ও কলা গাছের রসের উপকারিতা-শেষ কথা

আশা করি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে কলাপাতা ও কলা গাছের রসের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত করতে পেরেছি। আমাদের দেশে কলাপাতা খুবই সহজলভ্য একটি গাছ কিন্তু আমরা অনেকেই এই গাছের বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে তেমন একটা জানিনা জানিনা। ধৈর্য ধরে সঠিক পদ্ধতিতে কলাপাতার রস সেবন করে আমরা বিভিন্ন অসুখ নিরাময় করতে পারি। 

এছাড়াও কলা পাতা দিয়ে তৈরি সামগ্রিক ব্যবহার করে আমরা পরিবেশবান্ধব এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্য তৈরি করতে পারি। আমার কনটেন্টই ভালো লেগে থাকলে বেশি বেশি করে শেয়ার করুন যাতে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url