মিলিবাগ পোকা দমনের কার্যকরী উপায় ও কীটনাশক
মিলিবাগ পোকা দমনের কার্যকরী উপায় ও কীটনাশক
আপনার বাগান কি মিলিবাগ এর জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে? বার বার কীটনাশক দিয়েও কোন ফল
পাচ্ছেন না?তাহলে পাঠক আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।আজকাল বেশিরভাগ বাগানীরাই হতাশ
এই পোকার আক্রমন থেকে গাছ কে রক্ষা করতে না পেরে।
তাহলে চলুন আজকে এই পোকার সংক্রমন থেকে কিভাবে আপনার বাগান টি কে বাঁচাবেন তা
নিয়ে আমার এই কন্টেন্ট টি তে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
পেজ সূচিপত্রঃ
- মিলিবাগ পোকা কি ?
- এটি বাগানে কিভাবে বংশ বিস্তার করে?
- এই পোকা কিভাবে গাছের ক্ষতি করে?
- এই পোকা দমনের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি
- এটি দমনের কিছু কার্যকরী উপায়
- কি ধরনের কীটনাশক আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন
- আক্রান্ত গাছের যত্ন ও প্রতিকার
- গাছকে পুনরায় হেলদি কিভাবে করবেন?
- আরোও কিছু প্যারাসাইট যাদের প্রতি সতর্ক থাকবেন
- শেষ কথা
মিলিবাগ পোকা কি ?
মিলিবাগ বা(Mealybugs) একটি ক্ষুদ্র আকৃতির পোকা।এটি সিউডো ককিটি পরিবারের একটি পোকা।অনেক সূত্র মতে
এই পোকাটি আফ্রিকান।এরা দলবদ্ধ ভাবে গুটি আকারে থাকে ।যেসমস্ত গাছের পাতার সফট
গ্রথ হয় এবং গাছে প্রচুর পরিমানে নাইট্রোজেন রয়েছে ওই সকল গাছে দ্রুত এটি
সংক্রমিত হয়। এবং মজার ব্যাপার এটি আক্রান্ত গাছ থেকে খুব জলদি পুরো বাগানে
ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আপনি লক্ষ করলে দেখবেন যেই গাছে এই পোকা ধরেছে সেখানে অন্যান্য পিঁপড়া খুব
ছোটাছুটি করছে।এই মিলিবাগ আসলে চিনির রস গাছ থেকে শুষে নেয়। এরফলে গাছের কুঁড়ি
ডাল শুকিয়ে যায় ,আর এই চিনির বিনিময়ে এই পোকার ডিম সারা বাগানে ছড়াতে অন্যান্য
পোকা সাহায্য করে ।অনেকটা
বিনিময় প্রথার মত।আক্রান্ত গাছের পাতা হলুদ হতে থাকে, এর স্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে
যায় এবং পোকার সংক্রমন মাত্রাধিক হলে গাছ এক সময় নিস্তেজ হয়ে মারা
যায়।
এই পোকা তেমনভাবে মানুষের সরাসরি ক্ষতি করে না ।তবে আপনার ত্বক অধিক সংবেদনশীল
হলে এলারজি হতে পারে,কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে তাই অবশ্যই সাবধান
থাকবেন।
এটি বাগানে কিভাবে বংশ বিস্তার করে?
এই পোকা স্ক্রল বা হামাগুড়ির মাধ্যমে দ্রুত ছড়াতে পারে।গাছের পাতা বা আগার
দিকের শাখা যখন পরষ্পরের কাছাকাছি আসে বা ওভার ল্যাপ করে তখন সহজেই এরা অন্য
গাছে চলে যেতে পারে।পাতার নিচে,নতুন গজানো পাতার ভাঁজে ভাঁজে , ফুলের কুঁড়ি, গাছের আগার দিকের বর্ধিত অংশতে এরা বেশী আক্রমন
করে।
যে সমস্ত স্ত্রী পোকা প্রাপ্ত বয়স্ক তারা গড়ে ১৯ থকে ৪৫ দিন পরযন্ত আক্রমন না
করেই বেঁচে থাকতে পারে।আক্রমনের লক্ষণ গুলোর মধ্যে বেশির ভাগ সময় আপনি দেখবেন
সাদা সাদা তুলার মতো ডিমের গুঁড়ি, মোম এর মত আস্তরনে ঢাকা গাছ,আঠালো মধু,মধু
যুক্ত অংশে কালো কালির ছত্রাক জন্মাতে পারে,এই মধুই পিঁপড়া গুলো খেতে
আসে।
এই পোকা কিভাবে গাছের ক্ষতি করে?
ইহা গাছের রস চুষে নেয়,গাছকে দুর্বল করে দেয়,সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে এক
পর্যায় গাছ কে মেরে ফেলে।মিলিবাগ হানিডিউ গাছে ছত্রাক বাড়িয়ে দিয়ে পোকামাকড় কে
এট্রাক্ট করে থাকে, অন্যান্য ক্ষুদে মাকড়দের আঠালো বজ্য বাড়িয়ে গাছের ক্ষতি
করে।
মিলিবাগের জন্য ক্ষতিকর কিছু পোকাঃCrab Spider, লেডি বিটল,ক্রিপ্টোলেমাস
মনোট্রোজিয়েরির প্রাপ্ত বয়স্ক ও লারভা গুলো মিলিবাগের ডিম খেয়ে ফেলে।অতিরিক্ত
পানি স্প্রে, স্যাঁত স্যাঁতে পরিবেশ, বৃষ্টির পানি ,কিছু ক্ষেত্রে
অতিরিক্ত সার প্রয়োগের ফলে এর পরিমান আরো বেড়ে যায়।সেক্ষেত্রে আপনি সতরকতার
সাথে পানি দিলে আক্রান্ত গাছের ইমিউনিটি বেড়ে যাবে।
Root mealybug গাছের মূল কে আক্রমন করে।এখান থেকে পুষ্টি নিয়ে
সংখ্যায় বেড়ে যায়।অপরিণত বা আকারে ছোট মিলিবাগ ডগার অংশের দিকে চলে যায়।এজন্য
আপনি যদি কাটিং থেকে চারা তৈরী করেন তাহলে অবশ্যই চেক করে নিবেন। পোকাটির
অন্যন্য অংশ এবং আক্রান্ত পাতায় জালের মতো আবরণ সহজেই অন্যান্য পোকা মাকড়দের
আটকে ফেলে।বিশেষ করে এর সাদা অংশ।
এই পোকা দমনের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি
এখন ঘরোয়া অনেক পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি এই ক্ষুদে পোকার হাত থেকে
বাগান কে রক্ষা করতে পারবেন।নিচে এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করলাম।
কিছু ঘরোয়া উপকরণঃএলকোহোল সংমিশ্রত জল দিয়ে গাছ ধোয়া বা রাবিং করা,নিমের তেলের
মিশ্রণ প্রয়োগ ,রসুন,পিপার এবং পেঁয়াজ এর কিছু মিশ্রণ আপনি ব্যাবহার করে দেখতে
পারেন।প্রয়োগ এর ক্ষেত্রে আপনি স্প্রে বোতল বা তুলা ব্যাবহার করবেন।এসব পোকার ডিম
কে মেরে ফেলতে সাহায্য করবে।
- এই পোকার শরীরে যে মোমের মতো একটি আস্তরন থাকে এতাকে পানি শুন্য করে ফেলে আইসো প্রপাইল এলকোহল যৌগ।
- স্প্রে বোতল এ ৭০% আইসো প্রপাইল এর দ্রবণ পানির সাথে মিশিয়ে সরাসরি প্রয়োগ করুন।যেহেতু এর জালক অংশ অন্যন্য ছোট মাকড় কে ডেকে আনে ওগুলো আপনি তুলার সাহায্যে মুছে ফেল্বেন।প্রয়োগের আগে গাছের ছোট কোন জায়গায় অল্প পরসরে ব্যাবহার করে দেখুন কোন ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেই কিনা।
- নিমের তেলের প্রয়োগঃনিমের তেলে এর প্রজনন ক্ষমতাকে নষ্ট করে।এজন্য এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার গতি কমে যায়।আক্রান্ত অংশে ২ টেবিল চামুচ নিমের তেল,কয়েক ফোটা ওয়াশিং পাউডার বা ভিম লিকুইড ব্যাবহার করে একটা মিশ্রন তৈরী করে গাছে দিন টানা দুই সপ্তাহ।আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
- কীটনাশক সাবান প্রয়োগে আপনি এই পোকার প্রতিরক্ষা স্তর বা লেয়ার টি নষ্ট করে কাছ টিকে বাঁচাতে পারেন।সাবানের অতিরিক্ত অংশ পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলুন।নাহলে গাছের শিকোড় বা অন্যান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
- লেডি বাগ ,লেস উইংস এর মতো কিছু পোকা এক্ষেত্রে উপকারী পোকা হিসেবে ভূমিকা রাখে।এরা হচ্ছে মিলিবাগের প্রাক্রিতিক শিকারী।
- প্রচুর পরিমানে ছাঁটাই করবেন আপনার গাছকে যাতে সুস্থ্য ডাল গজাতে পারে।আর গাছের রস শুষে নিতে না পারে মিলিবাগ।আক্রান্ত গাছ সনাক্ত করতে পারেলে অন্য গাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন।আক্রান্ত গাছের গোড়ায় স্কচ টেপ বা আঠালো কিছু বেঁধে রাখুন যাতে পোকা উপরে উঠতে না পারে।
এটি দমনের কিছু কার্যকরী উপায়
- Hybiscus বা জবা গাছে এটির আক্রমন সবচেয়ে বেশি।নিমের ইনফিউশন এক্ষেত্রে মারাত্মক কাজ করে।পাতা ছিঁড়ে পানি যোগে পিষে নিন।মিক্সার ব্যাবহার করবেন না।কারন এটি থেকে যে হিট তৈরী হয় তা নিমের গুনাগুন নষ্ট করতে পারে ,শিল পাটা বা হামান দিস্তা ব্যাবহার করুন।নিম এর পেস্ট টি কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন।পানি যোগ করে সপ্তাহে দুই বার ব্যাবহার করতে পারবেন।যদি সংক্রমন বেশি হয় তাহলে আরো একবার ব্যাবহার করুন।
- যাদের কাছে গাছের পাতা কালেক্ট করা একেবারেই কঠিন তারা নিমের তেল ইউজ করবেন।সেক্ষেত্রে ৫০০ml পানির সাথে ৫ml নিমের তেল মিশাবেন।এই নিমের তেল আপনি কস্মেটিক্স এর দোকানে সহজেই পেয়ে যাবেন।দুই তিন ফোটা লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ যোগ করবেন এটি নিমের তেল কে পানির সাথে সহজে মিশে যেতে সাহায্য করে।এই স্প্রে টি আপনি সকালে সূর্য উঠার আগে বা সন্ধার দিকে গাছে দিবেন।কখনই কড়া রোদে এর প্রয়োগ করবেন না এতে চারা গাছের ক্ষতি হতে পারে।Spider মাইট ও অন্যান্য পরজীবী মারতে এটি সাহয্য করে।আপনার অন্যান্য সবজি গাছ, স্ট্রবেরি গাছ এ এটি ব্যাবহার করে দেখত পারেন।
- ১ চামুচ বেকিং সোদা নিন।কিছু পরিমান পানি মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।এর ভিতর দুই থেকে তিন ফোটা লিকুইড ওয়াশিং পাউডার এবং ৫ml নিমের তেল ব্যাবহার করতে পারেন।এটি একটি চমৎকার এন্টি ফাংগাল স্প্রে এবং অল পারপাস স্প্রে হিসেবে কাজ করবে।এটি গোলাপ গাছের ক্ষেত্রে খুব উপকারী।
উপরের সবগুলোই Strong Solution তাই প্রথমে অল্প পরিসরে প্রয়োগ করে
দেখবেন।পাতা যদি জ্বলে বা ঝলসে যায় তাহলে ডাইলুট করুন।অনেকে চুয়ানি ব্যাবহার করে
।এটিও এক প্রকারের গাঁজন বা ফারমেন্টেটেড যৌগ।
কি ধরনের কীটনাশক আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন
মাটির পোকা,লিফ ইটার,শুঁয়ো পোকা,অন্যান্য ক্ষতিকারক পোকাদমনের
জন্য ক্লোরপাইরিফস নামক কীটনাশক ব্যাবহার করতে পারেন।নাইট্রো ৫০৫
ইসি,জি-ফাইভ ৫৫ ইসি,মরটার ৪৮ ইসি,ক্লোরপাইরিফস ৪৮০,ক্যাটায়নী ক্লোরো ৫০ ইসি,
চায়না ক্লোরপাইরিফস ৫০ ইসি ইত্যাদি।অ্যাসিটাইলকোলিনস্টেরেজ নামক এনজাইমকে বাধা
দিয়ে পোকার সংক্রমন কমায়।গাছে পুনরায় সজীবতা ফিরিয়ে আনে।
অ্যাসিটামিপ্রিড মূলত স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে ,মাইট এর শরীরে সংকেত
প্রদানে ব্যাঘাত ঘটায়।এটি একটি সিস্টেমিক কীটনাশক।সালভো ২০ এস
পি,কে-এসিপ্র,কার্টাপ্রিড ৯৫ এসপি ,অর্কা ২৫ এসপি ইত্যাদি।সিস্টেমিক কীটনাশক গুলো
গাছের দেহের মধ্যে প্রবেশ করে এবং যেসব পোকা রস শুষে নেয় যেমন- এফিড, থ্রিপস
ইত্যাদির সংক্রমন কমায়।
ইমিডাক্লোপ্রিড পোকামাকড়ের স্নায়ুতন্ত্রের উপরে সমস্ত নিয়ন্ত্রন নিয়ে
নেয়।পদ্ধতিগত কীটনাশক হিসেবে এটি পরিচিত।আপনি স্প্রে করার ফলে সারা গাছের দেহে
এটি ছড়িয়ে পড়বে।ইমিটাফ ২০ sl, গেইন ২০ sl ,গেইন ২০sl, Tiddo 20 sl
ইত্যাদি ইমিডাক্লোপ্রিড কীটনাশক।
আক্রান্ত গাছের যত্ন ও প্রতিকার
আপনার আক্রান্ত গাছ কে প্রতিকার করার জন্য বেশ কিছু দিকে সজাগ থাকতে
হবে।ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের সময় আবহাওয়া মিলিবাগ সহ বিভিন্ন মাকড়ের
আক্রমনের জন্য ভালো।পোকা গাছের গোড়া বেয়ে উঠবে ,এক্ষেত্রে আপনি গোড়ার দিকে আঠা
যুক্ত ফিতা বা ফানেল যুক্ত করতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য
আলো বাতাস ভালোভাবে চলাচল করতে পারে এমন স্থানে রাখুন।ফাইটোক্লিন নামক কীটনাশক
ব্যাবহার করুন যাতে গাছে নতুন করে পোকা না ধরে।রেগুলার আক্রান্ত ডাল ছাঁটাই
করুন।মৃত পাতা ও অন্যান্য আবর্জনা ,আগাছা,ঘাস উপড়ে ফেলুন,পরিমিত ও মানসম্মত জৈব
সার দিবেন।নতুন কোন পাতায় পোকা ধরেছে কিনা খেয়াল করবেন নিয়মিত।
গাছকে পুনরায় হেলদি কিভাবে করবেন?
একটি রোগাক্রান্ত গাছকে বাঁচানোর জন্য আপনার এর ক্ষতিগ্রস্থ অংশ গুলোকে পুনরায়
রিপেয়ার করতে হবে। গাছে অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করবেন না ।গাছের বিভিন্ন অংশের
সিম্পটম লক্ষ করবেন।পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে কিনা, কুঁকড়ে যাচ্ছে কিনা, খেয়াল করবেন।
অতিরিক্ত আগাছা পরিষ্কার করবেন,মাটি কুপিয়ে আলগা করে নিবেন এতে সহজে অক্সিজেন
চলাচল করতে পারে।বার বার রিপটিং করবেন না ।মাটির গুনাগুন সঠিক আছে কিনা সেই দিকে
নজর দিন।প্রয়োজনীয় জৈব সার ব্যাবহার করবেন।
কিছু সিজিনে গাছের কুঁড়ি ও ডাল ছাঁটাই করবেন।এতে করে আরো বেশি কলি ধরবে ।গাছের
হলুদ পাতা বা ফুল শুকিয়ে যাওয়া অংশ ফেলে দিবেন।বিভিন্ন মাইট এর ক্ষেত্রে আলাদা
আলাদা কীটনাশক ব্যাবহার করতে হবে।ব্যাবহার বিধি ভালো ভাবে পড়ে
নিবেন।বা নার্সারির পরামর্শ নিবেন।
আরোও কিছু প্যারাসাইট যাদের প্রতি সতর্ক থাকবেন
বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক এর আক্রমন, সাদামাছি, স্কেল পোকা,এফিড জাতীয় পোকা,স্বর্ণলতা
এগুলোও প্যারাসাইট যা আপনার গাছের ক্ষতি করে।স্বর্ণলতায় হিস্টোরিয়া নামক চোষক
থাকে ।এর সাহায্য গাছের প্রয়োজনীয় রস শুষে নিজে বেঁচে থাকে এবং গাছের বৃদ্ধি
কমিয়ে গাছ কে এক সময় মেরে ফেলে।এটি কোন গাছে দেখে থাকলে দ্রুত সরিয়ে ফেলুন।খেয়াল
রাখবেন এর শিকড় যাতে থেকে না যায়।ফসলী জমিতে দেখে থাকলেও এটা সরানো আবশ্যক।
এফিড নরম ধরনের এক পরজীবী পোকা।গাছের নতুন পাতা এবং ডাল থেকে রস শুষে নেয়,পাতা
কুঁকড়ে হলুদ হয়ে যায়।এক্ষেত্রে নিম অয়েল ব্যাবহার করুন।স্কেল পোকার দেহ শক্ত
শিল্ড বা আবরন থাকে এবং গাছের ডাল শক্ত করে ধরে রাখে। ব্রাশের সাহায্যে বা স্প্রে
কীটনাশক ব্যাবহার করে আক্রমন রোধ করতে পারে।
White flies বা সাদা মাছি একটি পরজীবী।এটি উড়তে পারায় বাগানে দ্রুত বিস্তার
লাভ করে।আপনি হলুদ ফাঁদ পেতে রাখতে পারেন,নিম তেল ও স্প্রে কীটনাশক এর
মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রনে আনা যায়।এটি গাছের পাতা হলুদ করে ফেলে গাছ কে দুর্বল
করে ফেলে।ছত্রাক বা ফাংগাল সমস্যা একটি অতি পরিচিত রোগ বাগানীদের কাছে।এক একটি
ছত্রাক গাছের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করে থাকে।পাতা, ফল,শিকড়ের পচনে ছত্রাকের ভূমিকা
রয়েছে।বাগান বিলাস গাছে অতি বৃষ্টির ফলে বা কাটিং থেকে যখন চারা বানানো হয়
তখন ফাংগাল এটাক আমরা দেখতে পাই।এক্ষেত্রে এন্টি ফাংগাল স্প্রে ব্যাবহার করুন এবং
আলো বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে গাছ টি কে রাখুন।
শেষ কথা
আশা করি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি মিলিবাগ পোকার সংক্রমন থেকে নিজের বাগান কে
বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন।আপনার ফুল এবং সবজির বাগানের গ্রথ ভালো
রাখতে এবং সার ও কীটনাশক ব্যাবহারে উপরের কন্টেন্ট টি হেল্প করবে।এতক্ষন সাথে
থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।এমন আরো ইউনিক ও ইনফরমেটিভ তথ্য পেতে মুনিরা
ইনফো এর সাথে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url