ভাট গাছের শিকড়ের ১৪ টি সেরা উপকারিতা ২০২৫

 ভাট গাছের  শিকড়ের ১৪ টি সেরা  উপকারিতা ২০২৫

আপনি কি ভাট গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান?এটি কোথায় পাওয়া যাবে এবং এর বিভিন্ন ভেষজ গুনাগুন কি কি? তাহলে পাঠক আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।আজকের কন্টেন্ট টি তে ভাট গাছের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।


পেজ সূচিপত্রঃ

ভাট গাছ কি এবং কোথায় পাওয়া যায়?

এটি একটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ।এটি ফুল দিতে সক্ষম একটি সপুষ্পক গাছ।ভাঁট, ভাইট, বনজুঁই বা ঘেটু বিভিন্ন নামে এটি এক একটি জেলায় পরিচিত।এটির বনে জঙ্গলে রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মেলে।এক প্রজাতির বুনো গাছ। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Clerondendron viscosum।

মায়ানমার, বাংলাদেশ সহ ভারতের অনেক অঞ্চল এই গাছের আদি নিবাস ছিলো।এই গাছ ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়।এর পাতা পান পাতার মত ও কিছুটা খসখসে ,ফুলের পাঁপড়িতে সাদা এবং বেগুণী রঙ এর মিশ্রণ আছে।এর ফুল দেবার সময় বসন্ত থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত।

গ্রামের পতিত বাড়ি-ঘর ,মেঠো পথের দুই ধারে অযত্নে একা একাই অনেক টা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে।পাহাড়ি অঞ্চলে ছড়া বা ঝর্ণার পাশে বা চূড়ায় এ গাছ ভালমতো বেড়ে উঠে।ভাঁট ফুল দিয়ে ভাঁটি পূজার আয়োজন করে থাকে।

ভাট গাছের বিভিন্ন ভেষজ গুন

ভাঁট গাছ ঔষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর পাতার রস শিশুর জ্বর কমাতে সাহায্য করে।সনাতন ধর্মাবলম্বীরা
এই ভাঁট ফুল ব্যবহার করে ভাঁটি পূজা করে। এটির ফুল চৈতঘড়া নামেও পরিচিত।এই গাছটি ফ্ল্যাভোনয়েড এর অন্যতম উৎস।এই ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যান্সার রোগ সারাতে সাহায্য করে।

কৃমি, চুলকানি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও উদরাময় বিভিন্ন রোগের উপশমে এটি মারাত্মক কার্যকারি ।এই গাছ হলুদাভ অথবা শ্বেতবর্ণ লোমে ঢাকা থাকে।বিষাক্ত পোকার কামড় কিংবা ঘেঁটু গাছের শিকড় বা মূল বেটে টিউমারের উপর প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যেতে পারে। 

চর্ম রোগের জন্য এই গাছ দারুণ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটের সমস্যার ক্ষেত্রে নিয়মিত কয়েকদিন পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যাবে। উকুন বা চামড়ার সমস্যার ক্ষেত্রে এই পাতার রস ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

এই গাছের  শিকড়ের ১৪ টি সেরা উপকারিতা

এই গাছের শিকড় চূর্ণ করে বা রস করে ব্যবহার করা হয়।ভেষজ চা হিসেবেও অনেক অঞ্চলে খাওয়া হয়ে থাকে।হজমশক্তি বাড়াতে, জ্বর কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং চর্মরোগের চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে। 

শ্বাসকষ্টের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে এই গাছের শিকড়।এর পাতার রস ব্রঙ্কিয়াল টিউব খুলে দেয় এবং ভেতরে থাকা কফ তরল করে বের করে দিতে সাহায্য করে।বাতাস সহজেই চলাচল করতে পারে।এখানে থাকা এন্টি এজমেটিক পদারথ হাঁপানী ও শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।ফ্লাভনয়েডস এন্টি অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ নাশক।সাপোনিন্স কফ পাতলা করে।
  • জ্বর নিরাময়ে এটি বহু যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে,এর  শিকড়ের গূঁড়া পানির সাথে বা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে তাপমাত্রা দ্রুত কমে আসবে এবং শরীরে ঘাম আনতে ভূমিকা রাখে।এখানে উপস্থিত ট্যানিন্স ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করে।জ্বর এর ফলে শরীরে যে ব্যাথা আসে সেটা কমিয়ে আনে।এই গাছের শিকড়ে টারপেনয়েডস নামক দ্রব্য থাকে। 
  • হজমশক্তি বৃদ্ধিতে ভাট গাছের শিকড় অনেক  কারযক্রি।এটি পাচন ক্রিয়ার উন্নতিতে অবদান রাখে।যাদের অম্বল ভাব হয় বা কন্সটিপেশন এর সমস্যা রয়েছে তারা এই শিকড়ের রস খেলে উপকৃত হবেন।এটি পাচক রস নিসরনে সাহায্য করে এবং গ্যাস কমায়।
  • রক্তচাপ যাদের অনেক বেশি তারা এর পাতায় উপস্থিত ফাইবারের রস নিয়মিত খেতে পারেন।
  • চর্মরোগের বিভিন্ন সমস্যা যেমন-চুলকানি, খোসপাচড়া, একজিমার মতো রোগ সারিয়ে তুলতে আপনি এর পাতার প্রলেপ প্রয়োগ করতে পারেন তবে অবশ্যই যদি কার এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
  • কৃমি ও পেটের সমস্যায় অনেকে ভুগে থাকেন।সারাক্ষন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।এ গাছের শিকড়ের রস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে এবং দেহে প্রয়জোনীয় এন্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে।আপনি এর সাথে রসুন ও ব্যবহার করতে পারেন এর অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক বৈশিষ্ট্য কৃমি দূর করতে সহায়ক।শসার বীজ ও কাঁচা হলুদ এবং ভাট এর পাতার রসের মিশ্রণ ফিতা কৃমি নাশ করে।
  • বিষাক্ত পোকার কামড়ে যদি চুলকানি দেখা দেয় সেক্ষেত্রে এর পাতার রস বা প্রলেপ ব্যবহার করা যেতে পারে । এটি টক্সিন এর মাত্রা কমিয়ে আনবে এবং রোগীকে আরাম দিবে।এখানে উপস্থিত ট্যানিন্স প্রদাহ কমাবে, এবং পাতার ঠান্ডা প্রলেপ জ্বালাপোড়া কমাবে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভাট গাছের  শিকড় এর জুড়ি নেই।এটি আপনার ইমিউন সিস্টেম কে আরো সজাগ করে এবং দেহে প্রয়জোনীয় এন্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে।
  • আলসার রোগে আক্রান্ত রোগীরা পেটের যন্ত্রনায় অত্যন্ত ভোগেন।এ পাতার রস খেলে তা আলসার এর ঘা দ্রুত শুকাতে ম্যাচুরেন্ট হিসেবে কাজ করবে।
  • খুসকি দূর করতে ভাট গাছের  শিকড়ের ও পাতার রস আপনি ব্যাবহার করতে পারেন। এটি মাথার স্কাল্প কে ছত্রাক এর সংক্রমন থেকে বাঁচায়।
  • ডায়রিয়া হলে আপনার শরীরে পানির ব্যাপক অভাব দেখা দেয়।অনেক সময় শরীর নেতিয়ে পড়ে।এই পাতার রস আপনার দেহে এন্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করবে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
  • ভাট গাছের পাতা পেটের সমস্যা, যেমন - কোষ্ঠকাঠিন্য, উদরাময় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হতে পারে।
  • টিউমার তথা দেহের কোন স্থানে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন দেখা দিলে এটির রস রোগ সারাতে সক্ষম।
  • বদহজম ও পেটের পীড়া কমাতে এটি কার্যকারি ভূমিকা রাখে।
  • (Marek's disease) এর প্রাদুরভাব কমাতে এই গাছের পাতা ও শিকড় গ্রামে ব্যাবহার করা হয়।


চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই গাছের প্রাচীন ব্যবহার

আধুনিক যুগের মানুষ যে পরিমাণে ঔষধ খায় আগের যুগে মানুষ এতো কেমিক্যাল নির্ভর ছিল না।প্রাচীনকাল থেকেই ভেষজ চিকিৎসায় ভাট গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে এবং আজও গ্রাম বাংলা ও লোকজ চিকিৎসায় এর ব্যবহার দেখা যায়।ভাট গাছের পাতা, ফুল ও শিকড় প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

জ্বর, চর্মরোগ, কৃমি, ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা এবং বাতজ্বরের চিকিৎসায় এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। পাতা বেটে লাগালে চর্মরোগ ও ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে এবং শিকড় ও পাতা ফুটিয়ে খেলে জ্বর ও কফ সর্দি কমে।আয়ুর্বেদ চিকিৎসা হলো একটি প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি যা ৫০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। এটি মূলত ভেষজ উদ্ভিদ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।এটি একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি।

ভাট গাছের ফুল পাতা এবং শিকড়ের রস এগুলো প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা ব্যবহার করে আসছেন।আপনার বাড়ির আশেপাশ থেকে খুব সহজেই আপনি ভাট গাছ ব্যাবহার করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতে পারেন।

এই গাছের অন্যান্য ব্যবহার

ভাট গাছের শিকড় প্লীহা, অর্শ, শোথ, ও প্রদাহের চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়। ভাট গাছের শিকড় সাধারণত চূর্ণ করে বা রস করে ব্যবহার করা হয়। এটি ভেষজ চা তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। টিউমারের নাম আজকাল আমরা সবাই শুনে থাকি।এটি মুলত অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফলে ঘটে থাকে।

আগেই অস্ত্র প্রচার না করে আপনি ভেষজ ট্রিট্মেন্ট করতে পারেন। টিউমারের ক্ষেত্রে, শিকড়ের পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। বিষাক্ত পোকা কামড়ালে ভাট বা ঘেঁটু গাছের শিকড় বা পাতা বেটে লাগালে আরাম পাওয়া যায়। 

এর কার্যকারিতা কি কি?

এই গাছটি ঔষধি গুন সম্পন্ন গাছ।গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তরে আপনার এই গাছটির দেখা মিলবে।এ গাছের শিকড় ,পাতা, রস সবই ভেষজ  চিকিৎসাতে ব্যাবহার করা হয়।এটির কার্যকারিতা একাধিক ক্ষেত্রে।ম্যালেরিয়া,বাতের ব্যাথা,খোস পাঁচড়া , মাথার উকুন,অম্বল,পেটের ব্যাথা দূরীকরণ,আমাশা,কাশী
ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ উপশমে এটির কার্যকারিতা রয়েছে।

এর শিকড়ের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা?

ঘেঁটু বা ভাট (Clerodendrum viscosum) গাছের শিকড়ের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যদিও এটি ঐতিহ্যগতভাবে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে এর শিকড়ে কিছু বিষাক্ত উপাদানও থাকতে পারে, যা ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। 

কিছু ক্ষেত্রে, শিকড়ের রস সেবন করলে শরীরের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে কিডনি ও লিভারের সমস্যাও হতে পারে। বিশেষ করে, যাদের কিডনি বা লিভারের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।

আমাদের অনেকের শরীর ও ত্বক বাইরের কোন কিছুর উপর অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হতে পারে।আমাদের এলার্জিক রিসেপ্টর এক্ষেত্রে রিয়েকশন করতে পারে, তাই আমাদের যেকোন ভেষজ দ্রব্য ব্যাবহার করার সময় অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।ভাট শিকড়ের রস ত্বকে লাগালে কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জি বা র‍্যাশের মতো সমস্যা হতে পারে। 

কিভাবে আপনি এর শিকড় সংরক্ষন করবেন?

সংরক্ষণের জন্য ভাট গাছের শিকড়কে প্রথমে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর, শিকড়গুলো ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে, যাতে এদের মধ্যে কোনো আর্দ্রতা না থাকে। শিকড়গুলো সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে, সেগুলোকে বায়ুরোধী পাত্রে রাখতে হবে। বায়ুরোধী পাত্র হিসেবে কাঁচের বয়াম বা প্লাস্টিকের বায়ুরোধী ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। 

পাত্রের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে বাতাস চলাচল করতে না পারে। এছাড়াও, শিকড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিয়ে ফ্রিজে রেখেও সংরক্ষণ করা যেতে পারে। যদি শিকড়গুলোকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চান, তবে সেগুলোকে গুঁড়ো করে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারেন। 

এছাড়াও, শিকড়গুলো হিমায়িত করে বা শিকড়গুলোকে গুঁড়ো করে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। 

ভাট গাছের শিকড় খেলে কোন এলার্জিক রিয়েকশন হতে পারে কিনা?

ভাট বা ঘেঁটু গাছ গ্রাম বাংলার বহুল পরিচিত একটি ভেষজ গাছ এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসাতে এটির ব্যাবহার অনেক।কিন্তু আমাদের শরীর এর ভিতর অনেক  এলার্জিটিক রিসেপ্টর থাকে যা বহিরাগত যে কোন বস্তুর প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হতে পারে।

এক্ষেত্রে , পরামর্শ না নিয়ে হুট করে কোন কিছু খেলে না ব্যাবহার করলে লাভ এর পরিবর্তে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি হতে পারে। ভাট বা ঘেঁটু গাছ এর শিকড় এলার্জিক রিয়েকশন সৃষ্টি করতে পারে। তাই, নিজে নিজে চিকিৎসা করার আগে আরেকবার ভেবে নিবেন।

শেষ কথা

আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা ভাট গাছের  শিকড়ের ব্যাবহার সম্বন্ধে একটি ভালো ধারনা দিবে এবং আপনি পড়ে উপকৃত হবেন।যদি আমার লেখা কন্টেন্ট টি পড়ে আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে বেশি বেশি করে শেয়ার করে আপনার কাছের বন্ধু-বান্ধব ও অন্যান্য  মানুষদের  কাছে তথ্যটি পাঠিয়ে দিন ।এতে করে তারা ও উপকৃত হবেন।

এতক্ষন সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।এমন আরো ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট পেতে মুনিরাইনফো এর সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url