সকালে খালি পেটে মোটা হবার সেরা ১০ টি কার্যকরী উপায়
সকালে খালি পেটে মোটা হবার ১০ টি সেরা উপায়
আপনি কি অতিরিক্ত শুকিয়ে যাচ্ছেন, ওজন নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আজকের কন্টেন্ট টি
আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সুসাস্থ্য একটি সুন্দর জীবনের প্রথম শর্ত। আপনার
ওজন যদি প্রয়োজনের চাইতে অতিরিক্ত কমে যায় তাহলে আপনি খুব
সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবেন।
শরীর অসুস্থ হলে মন ও দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে।আপনার কর্মজীবন ও প্রাত্যহিক
জীবন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।খালিপেটে বিশেষ কিছু উপায়ে আপনি ওয়েট গেইন
করতে পারেন এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।
পেজ সূচিপত্রঃ
- সকালে খালি পেটে যে সমস্ত খাবার খেলে ওজন সহজে বাড়ানো যায়
- মোটা না হবার কারন সমূহ
- যে সমস্ত খাবার সকালে খালি পেটে খেলে মারাত্মক হানি হতে পারে
- দ্রুত মোটা হবার ১০ টি কার্যকরী উপায়
- বি.এম.আই নিয়মিত চেক করার উপকারিতা
- মোটা হবার বিভিন্ন ব্যায়াম সমূহ
- আধুনিক কিছু পদ্ধতি যার মাধ্যমে ওয়েট গেইন করবেন
- সুস্বাস্থ্যের জন্য ৫ টি জীবনমূখী পদ্ধতি
- নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার তাৎপর্য
- শেষ কথা
সকালে খালি পেটে যে সমস্ত খাবার খেলে ওজন সহজে বাড়ানো যায়
সকালের খাবার অত্যন্ত জরুরি ।এই খাবার আপনার সারাদিনের কর্মক্ষম থাকার জন্য নানা
দিক থেকে অবদান রাখে।কথায় বলে সকালে খেতে হয় রাজার মত।শরীরের প্রয়জোনীয় ক্যালরি
আপনাকে নিত্য সরবরাহ করতে হবে।খালি পেটে কলা, সিদ্ধ ডিম,দুধ,ওটস,কিসমিস,ছোলা
এগুলো খেলে শরীরের ওজন দ্রূত বৃদ্ধি পায় কলাতে প্রচুর পরিমান
কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমান
আপনি যত দ্রূত বাড়াতে পারবেন ততো তাড়াতাড়ি আপনার ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা
বাড়বে।পিনাট বাটার এবং আলু সিদ্ধ বা আলুর তৈরী বিভিন্ন খাবার খেলেও
আপনার শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমান তুলনামূলক বাড়বে।
আপনি রাতে কিসমিস ভিজিয়ে সকালে খেলে অনেক উপকৃত হবেন।একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য
হিসেবে কিসমিস ভুমিকা রাখে।কিসমিস এ আছে ফাইবার, মিনারেল , বি৬, আয়রন,
পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম ও হজমে সহায়ক বিভিন্ন পদার্থ।বিভিন্ন
শারীরিক কার্যকারিতা বাড়াতে এটি ভূমিকা রাখে।ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের পরিমাণ
প্রাকৃতিক ভাবে এখানে অনেক বেশি।প্রাকৃতিক চিনি শারীরিক দুর্বলতা
কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।আপনি গ্রানোলা ,দুধ বা বাজার থেকে কিনা পিনাট বাটার
এর সাথে মিশিয়ে খাদ্যগুণ বাড়িয়ে খেতে পারেন।
ফ্যাট কোলেস্টেরল এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডিম।এটি দীর্ঘ সময় পেটে
থাকে আপনার পেশি গঠন এ সহায়তা করে।অপরদিকে দুধ হল সুষম খাদ্য।ক্যালোরি এবং
প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য।আপনার
খাদ্য তালিকায় ফ্যাট, ক্যালোরি ও প্রোটিনের পরিমান এর সমতা বজায় রাখবেন।এক কাপ
দুধে ১৫০g ক্যালোরি থাকে।
মোটা না হবার কারন সমূহ
ওজন দিন দিন কমে যাবার বা মোটা না হবার বিভিন্ন কারন থাকতে পারে ।জেনেটিকাল
প্রব্লেম, দেহের বিপাকক্রিয়া, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্য
সমস্যা (দেহের বিভিন্ন অরগান এর সমস্যা) এবং মানসিক চাপ,অনিদ্রা, ওষুধের
সাইড ইফেক্ট , রক্তশুন্যতা ইত্যাদি প্রধান কারন।জিন আমাদের সামগ্রিক
বৈশিষ্ট্যনিয়ন্ত্রন করে।তাই জেনেটিকালি কেউ রোগা হতেই পারেন। আবার অনেকের শরীরে
হজমের ব্যাপারটি অনেক দ্রুত ঘটে। এজন্য ওজন বাড়ে না।
অনেকের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস ভাল না দেখা গেল সঠিক সময়ে খায় না বা অরুচি
অথবা হতে পারে জটিল কোন রোগের পর খাওয়া দাওয়া কমে গেছে।অনেকে ওজন কমানর
জন্য খাওয়া ছেড়ে দেয়।এমন হঠাৎ করে খাওয়া ছেড়ে দিলে পাকস্থলীর কাজে
বেঘাত ঘটে।কেউ যদি ডায়েট কন্ট্রল করতে চান তবে দৈনিক খাবের তিন বেলা থেকে এক
ত্রিতিয়াংশ কমাতে হবে।নাহলে পরবর্তীতে ক্ষুদা মন্দা রোগ দেখা দিতে পারে।দীর্ঘদিন
না ঘুমালে বা দুশ্চিন্তা করলে ওজন কমে যাবে। এছাড়া কেমো থ্যারাপি দিলে ,গর্ভকালীন
অবস্থার পর,ডায়াবেটিস ,খাদ্যে অনিয়ম এর কারনে মানুষ শুকিয়ে যেতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে থাকলেও মানুষ শুকিয়ে যায় কারন শরীর ও মন পরষ্পরের উপর
নির্ভরশীল।অনেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীর নতুন পেশি গঠন করতে অক্ষম
হয়।অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে মানুষের ওজন হ্রাস
পায়। ক্যান্সার, এইডস, যক্ষ্মা, ও দেহের বিভিন্ন প্রধান অরগান (কিডনি
বা ফুসফুসের সমস্যা) বা বিকল হয়ে গেলেও ওজন কমে যায়।
যে সমস্ত খাবার সকালে খালি পেটে খেলে মারাত্মক হানি হতে পারে
অনেকেই সকালে উঠে লেবু বা কোন টক জাতীয় ফল পানির সাথে মিশিয়ে খান অথবা চা বা কফি
খান যাতে ফ্রেস লাগে। তবে এই দুই খাবারেই অম্লীয় পরিবেশ পাকস্থলীতে তৈরী করে।এটি
এসিডিটির কারন হয়ে দাঁড়ায়। এ বাদেও অনেকে সকালে তীব্র মিষ্টি জাতীয় খাবার
খান যা 'সুগার স্পাইক' ঘটাতে সক্ষম।এতে করে হঠাৎ করে শরীরে
সুগার এর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
কার্বোনেটেড ড্রিংকস যেমন (মোজো,ফান্টা,পেপ্সি) বা সহজ ভাষায় কোমল পানীয় যদি খালি
পেটে খান তাহলে রক্ত চলাচলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সারা রাত আমাদের পেট খালি
থাকে এরপর সকালে হুট করে যদি আপনি তেল যুক্ত খাবার খান তাহলে এসিডিটি হতে
পারে।আবার যদি দুধ খান তাহলে এর ভিতরে উপস্থিত ল্যাক্টিক এসিড আপনার পেটে অম্লীয়
পরিবেশ তৈরী করতে পারে ।এর ফলে,বমি বমি ভাব, খাদ্যে অরুচি আসতে পারে।
অনেকের খালি পেটে ধুমপানের বদঅভ্যাস রয়েছে।এটি আয়ু কমিয়ে দেয় ,মরণব্যাধী
ক্যান্সার ঘটাতে সক্ষম,ঠোঁট কাল হয়ে যায়,হ্রদরোগ
ছাড়াও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে।আপনার পাকস্থলী
বা অন্ত্রের আস্তরণের মধ্য দিয়ে গ্যাস্ট্রিক তরল ফুটো করে এক অস্বাভাবিক
অবস্থার সৃষ্টি করে।
দ্রুত মোটা হবার ১০ টি কাযকরি উপায়
দেহের ক্যালোরি বাড়ানঃ আপনার দেহে প্রত্যেকদিন ক্ষয় হয়। আর এই ক্ষয় পুরনের
জন্য ক্যালোরি বাড়াতে হবে।আপনার প্রত্যেক দিনের খাদ্যতালিকায় উচ্চ
ক্যালরিযুক্ত খাবার ,রাফেজ জাতীয় খাবার(আঁশ জাতীয় ফলমুল) ,বীজ , High
Protein খাবার সমূহ খেতে হবে।আপনার দেহে রোজ যে পরিমান ক্ষয় হয় তার
চেয়ে ৫০০–৭০০ ক্যালরি খাবার বেশি খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয়
খাবার যেমন-(চিয়া বা সূর্যমুখীর বীজ, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ,অলিভ
অয়েল ,কড লিভার ওয়েল,ডার্ক চকোলেট , বাদাম ইত্যাদি) রাখতে পারেন।
ঘন ঘন খাওয়া অভ্যাস করুনঃ অতিরিক্ত খাওয়া আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ন ।তাই,
খাদ্য-তালিকা তে যদি আপনি ভেঙে ভেঙে খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার পাকস্থলীর
উপর চাপ কম পরবে।সবসময় চেষ্টা করবেন সুষম খাবার বা সহজ
পাচ্য খাদ্য নির্বাচন করবেন।এতে অরুচি জাতীয় সমস্যা দূর হতে
পারে।মেয়েদের শরীরের ক্ষয় বেশি,এক্ষেত্রে আয়রন যুক্ত খাবার
(পালং-শাক,সয়াবিন,মসুর ডাল,তোফু,শিমের বীজ ) ইত্যাদি খেতে পারেন।ছোট মুরগির
মাংস, মাছের ডিম,ডুমুর এগুলো বেশি করে খাবেন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমানোঃদীর্ঘস্থায়ী রোগের সম্ভাবনা কমাতে ও সাস্থ্যের
জন্য পরিমিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম এর প্রয়োজন।যাদের ঘুম এর সমস্যা যেমন- অনিদ্রা
,ইনসমনিয়া, দুশ্চিন্তা তাদের শরীরে অনেক রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি।গবেষণায় দেখা
গেছে যে যাদের ঘুম নিয়মিত তারা বাঁচে বেশিদিন।ঘুম এর মাধ্যমে আমাদের সারা দিনের
দেহে যে ক্ষয় হয় তা পুরণ হয়।অন্যদিকে যারা ঘুমায় না বা রাত জাগে তাদের ব্রেন সেল
ড্যামেজ হতে পারে ,সারাদিন ক্লান্তি অনুভূত হয়।তাই সুন্দর জীবন ও সুস্বাস্থ্যের
জন্য মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা লাগবে।
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খানঃ বহুমুখী এবং পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় ডিম এর
বিকল্প নাই।অনেকেই কাঁচা ডিম খেয়ে থাকেন ,এমনটি করবেন না কারন কাঁচা ডিম এর
মধ্যে অনেক রকমের ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে যা ক্ষতিকর।এখন ডাক্তারেরা হাফ বয়েল
খেতেও নিষেধ করেন তাই আপনার জন্য সিদ্ধ ডিম ভাল হবে।প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগির বুকের
মাংসে প্রায় ৩১ গ্রাম প্রোটিন থাকে ।এছাড়া,গ্রীক দই,স্যালমন
মাছ,চর্বিহীন গরুর মাংস ,প্রোটিন শেক ইত্যাদি খেতে পারেন। ডাল রান্নার সময় বেশ
কিছু রকমের ডাল একসাথে মিশিয়ে খেলে খাদ্যগুন অনেক অংশে বেড়ে যায়।
ঘরোয়া কিছু খাবার নিয়মিত গ্রহণ ঃআমরা অনেকেই বাইরের খাবার ফাস্ট ফুড যখন
তখন খেয়ে নি ।এটি হানি কারক এবং স্বাস্থ্যর জন্য হুমকি। বাহিরের খাবার এ
নানা রকম ভেজাল ,টেক্সটাইল রং,মরা মাংস,বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার থাকে ।এগুলো
খেলে পরে দেহে নানাবিধ অসুখ ধরা পড়তে পারে।বাড়ির খাবার যথেষ্ট পরিমান হাইজেনিক।
খাবার সমূহ সুন্দর করে ঢেঁকে রাখতে হবে এবং মাছি ও তেলাপকার হাত থেকে রক্ষা করতে
হবে।বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
হরমোন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ আপনার প্রতি ৬ মাস পরপর একবার হলেও মেডিকেল চেকাপ
করানো উচিত।আমাদের দেশের মানুষ এই বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেয় না। অনেক রোগ
ছড়ানোর আগে ধরা পড়লে চিকিৎসা করা সম্ভব।হরমোন এর কারনে অনেক রকমের রোগ হয়।হঠাৎ
ওজন বেড়ে যাওয়া ,থাইরয়েডের সমস্যা ,থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি হরমোনাল সমস্যাজনিত রোগ।
বি.এম.আই নিয়মিত চেক করার উপকারিতা
BMI এর পূর্ণরূপ হলো Body Mass Index , প্রত্যেকটি মানুষের বি এম আই আলাদা আলাদা
হয়।কোন একজন ব্যক্তির ওজন ও উচ্চতার সমন্বয়ে তার দেহে উপস্থিত চর্বির
পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় এটির মাধ্যমে।নিয়মিত বিএমআই পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনি আগাম সতর্ক হতে পারবেন।আপনি ওভার ওয়েট নাকি আন্ডার ওয়েট সেটি জানতে পারবেন।বিভিন্ন জটিল রোগ যেমন-ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সারের সনাক্ত করনে এটি অবদান রাখে।আপনার BMI যদি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে বা কমে যায় তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মোটা হবার বিভিন্ন ব্যায়াম সমূহ
আপনি যেহেতু ওয়েট গেইন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রাত্যহিক জীবনে শারীরিক
কসরত বা ব্যায়াম করতে হবে।ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করাটা খুব জরুরি।এতে আপনার শরীরে
ক্লান্তি আসবে মন ভাল থাকবে এবং যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি
উপকারী।ভোরে বা বিকেলে হাঁটা কিংবা সাঁতার সব বয়সী মানুষের জন্য ভাল।
এছাড়া বর্তমান সময়ে YOGA , মেডিটেশন খুবই জনপ্রিয়। এগুলোর মাধ্যমে আপনি
প্রাত্যহিক জীবনে আরও বেশি ধ্যান ও মনোযোগের সাথে কাজ করতে পারবেন।মানসিক চাপ
কমাতে এটি সহায়ক। এছাড়া পুল আপ, পুশ আপ, বেঞ্চপ্রেস, স্কোয়াট , বিভিন্ন
রেকমেন্ডেড প্রোটিন শেক খেতে পারেন।আপনার পেশির গঠনে এগুলো ভূমিকা রাখবে।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে হাল্কা কিছু ব্যায়াম করতে পারেন।আপনি জিম বা ইয়োগা
সেশন জয়েন করতে পারেন।
আধুনিক কিছু পদ্ধতি যার মাধ্যমে ওয়েট গেইন করবেন
- মনযোগ সহকারে খাবার খানঃ আজকাল আমরা প্রযুক্তি এবং কাজের চাপে খাওয়া কে অবহেলা করি।এটি একদমই করবেন না।সময় নিয়ে ঠিক মত চিবিয়ে খাবেন।খাবার খাওয়ার দশ মিনিট পর পানি খান।খাবার সময় কথাবলা বা ফোন স্ক্রল করা থেকে বিরত থাকুন।এর মাধ্যমে আপনি ওয়েট গেইন করতে পারবেন।
- আজকাল সার্জারির মাধ্যমে ক্লিনিকালি মানুষ অস্ত্রপাচার করে শরীরে ওয়েট গেইন করছে।বডি শেপের বিভিন্ন পরিবর্তন আনছে।শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে আজকাল অনেক কিছুই সম্ভব।
- পিনাট শেক, ওটস শেক ,হাই ক্যালোরি যুক্ত বিভিন্ন প্রোটিন শেক আজকাল বাজারে পাওয়া যায়।
- লাইফস্টাইলে অবশ্যই রুটিন রাখেন এবং নিয়মিত পরিমিত খাদ্য গ্রহন করুন।
সুস্বাস্থ্যের জন্য ৫ টি জীবনমূখী পদ্ধতি
- পরিমিত ঘুমঃঅবশ্যই আপনার ঘুমের একটি সময় নির্ধারণ করুন।যখন তখন ঘুমানোর অভ্যাস ছাড়ুন।দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
- নিয়মিত আহারঃ সময়ের খাবার সময়ে খান।জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন, পরিমিত খাবার খান।
- Anxiety ম্যানেজমেন্টঃ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- নতুন কিছু শেখার আগ্রহঃএকঘেয়েমী জীবন ত্যাগ করুন।
- নিজেকে সময় দেওয়াঃআত্মসচেতনতা সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার।
নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার তাৎপর্য
আমরা অনেক সময় শরীরের প্রতি যত্ন নেই না,সময়মত ডাক্তারের কাছে যাই না।বা
নিজে নিজে পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেয়ে ফেলি।যেমন-আজকাল আমাদের জ্বর এলেই নাপা
খাবার অভ্যাস দেখা দেয়।জ্বর একটি উপসর্গ মাত্র।ডাক্তারের কাছে যাবার অনিহা থেকেও
অনেক রোগ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
আমরা প্রতি ছয় মাস পরপর যদি চেকাপ করি তাহলে স্বাস্থ্যের উপর আরো মনযোগী হতে
পারব।তাই কোন ওষুধ অবশ্যই ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া খাব না। অনেক সময়
ভুল ওষুধ এর জন্য শরীরে বিভিন্ন এলার্জি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
দেখা দেয়,চুল পড়ে যেতে পারে আরো অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই অবশ্যই সচেতন হন।
শেষ কথা
আশা করছি আজকের কন্টেন্ট টি খালি পেটে মোটা হবার বিভিন্ন টিপস ও ট্রিকস দিয়ে
আপনাকে সাহায্য করবে।এই টিপসগুলো হেল্পফুল হলে আপনি অবশ্যই বেশি বেশি করে
শেয়ার করুন যাতে করে আপনার বন্ধু-বান্ধবও কাছের মানুষজন উপকৃত হতে পারে। এতক্ষন
সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url